বানিয়াচং উপজেলার কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম ও বর্তমান প্রধান প্রধান শিক্ষক ফখরুদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম,সাম্প্রদায়িক ধ্বংস, চুরের পক্ষ পাতিত্ব এবং আসাধাচরণের প্রতিবাদে অভিভাবকদের আয়োজনে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে বানিয়াচং কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন টি অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান মঞ্জু কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও অভিবাবক প্রতিনিধি আকমাল হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য রমজান আলী,ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর চৌধুরী, হারুন মিয়া,সোহাগ চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দাস,মহানন্দ বৈষ্ণব,দুলন, অজিত বৈষ্ণব,রিপন মিয়া,কল্পনা বর্মন,সুকৃতি বর্মণ,গোপাল বৈষ্ণব,শংকর বর্মণ,মোঃ নাসির মিয়া,সিরাজুল ইসলাম,আঃ রহমান,আঃ আলী,মনির মিয়া,বন্দ্র কুমার বৈষ্ণব,হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ আব্দুল সহিদ,ফয়জুর রহমান,অজিত বর্মন,মোঃ নুরুল হক,মোঃ জামাল হোসেনসহ অভিভাবক বৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখরুদ্দীন আহমদের ছুটিতে থাকাকালীন সময় বিদ্যালয়ের ১১ ট ল্যাপটপ,৩ টি সোলার ব্যাটারি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী রানা আখন্দকে গ্রেফতার করে বানিয়াচং থানা পুলিশ। ছুটি কাটিয়ে বিদ্যালয়ে যোগদান করে নৈশ প্রহরী রানা আখন্দকে জামিন পত্রে সাক্ষার করে নিজ জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখরুদ্দীন। এ ঘটনা এলাকায় জড়িয়ে পড়লে এলাকার স্থানীয় অভিবাবক ও লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রক্রিয়া দেখা দেয়। পরে অভিবাবক কমিটি ও ম্যানেজিং কমিটি একটি সভা আহবান করেন ওই সভায় প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোন সুন্দর উত্তর না দিয়ে অভিবাবক সদস্যদের সাথে অসৎ আচরন করেন। এরই প্রতিবাদে গ্রামবাসী ও এলাকার জনপ্রতিনিধি মিলে ওই মানববন্ধনেরআয়োজন করেন। মানববন্ধনে বক্তরা বক্তরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবিসহ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।